সফটওয়্যার টেস্টিং এর সাতটি নীতি
সফটওয়্যার টেস্টিং করার সময় কিছু মৌলিক নীতি অনুসরণ করলে টেস্টিং কার্যকর ও ফলপ্রসূ হয়। নিচে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি বাংলা ভাষায় তুলে ধরা হলো:
টেস্টিং ত্রুটির উপস্থিতি দেখায়, অনুপস্থিতি নয়: টেস্টিং করে আমরা বলতে পারি সফটওয়্যারে বাগ আছে কিনা, তবে এটি প্রমাণ করতে পারে না যে সফটওয়্যার ১০০% বাগ-মুক্ত।
সম্পূর্ণ টেস্টিং সম্ভব নয়: প্রতিটি ইনপুট ও সম্ভাব্য অবস্থার টেস্ট করা অসম্ভব। তাই আমরা ঝুঁকি (Risk) ও প্রাধান্য (Priority) অনুযায়ী টেস্ট করি।
টেস্টিং যত তাড়াতাড়ি শুরু হয় তত ভালো: সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট লাইফসাইকেলের প্রাথমিক পর্যায়ে টেস্টিং শুরু করলে ত্রুটি দ্রুত ধরা পড়ে এবং ঠিক করতেও কম খরচ হয়।
ত্রুটির ঘনত্ব (Defect Clustering): বাস্তবে দেখা যায়, সফটওয়্যারের একটি ছোট অংশেই অধিকাংশ বাগ পাওয়া যায়। তাই সেই গুরুত্বপূর্ণ অংশে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার।
পেস্টিসাইড প্যারাডক্স (Pesticide Paradox): একই টেস্ট বারবার চালালে এক সময় নতুন বাগ ধরা বন্ধ হয়ে যায়। তাই টেস্ট কেস নিয়মিত রিভিউ ও আপডেট করতে হয়।
টেস্টিং প্রেক্ষাপটনির্ভর (Context Dependent): ব্যাংকিং সফটওয়্যারের টেস্টিং পদ্ধতি যেমন হবে, গেমস সফটওয়্যারের টেস্টিং তেমন নাও হতে পারে। প্রেক্ষাপট অনুযায়ী টেস্টিং কৌশল নির্ধারণ করতে হয়।
ত্রুটি না পাওয়া মানেই সফল নয়: টেস্টিংয়ের আসল উদ্দেশ্য হলো ব্যবহারকারীর চাহিদা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী সফটওয়্যার কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করা। শুধু বাগ না পাওয়া মানেই টেস্টিং সফল নয়।
সফটওয়্যার টেস্টিং এর সাতটি নীতি ডেভেলপার ও টেস্টারদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে টেস্টিং একটি কৌশলগত কাজ। সঠিক নীতি অনুসরণ করলে সফটওয়্যার আরও নির্ভরযোগ্য, নিরাপদ ও ব্যবহারবান্ধব হয়।
Not a member yet? Register now
Are you a member? Login now